প্রচলিত এনার্জি সেভিং লাইট মুলতঃ এক ধরনের সি এফ এল (CFL) লাইট । এটা সাধারণ বাল্ব বা টিউব লাইটের বিকল্প কিন্তু টিউব লাইট বা অন্যান্য সাধারন লাইটের চেয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী । এটা প্রায় ৭০-৮০% বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে থাকে যা আমাদের দেশের মত গরীব দেশের জন্য অনেক উপকারী । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এর স্বাস্থ্যগত দিক। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, CFL (এনার্জি সেভিং বাল্ব) থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি (UV Ray) বের হয় যা মানুষের বিশেষ করে ত্বকের ক্ষতি করে এমন কি ত্বকের ক্যান্সারের জন্যও দায়ী । সাম্প্রতিক কালে উন্নত দেশগুলো এর বিকল্প অনুসন্ধান করেছে এবং সফলকাম ও হয়েছে । উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যে সি এফ এল বাল্ব বর্জন করেছে । কিন্তু আমাদের মত গরীব দেশগুলো এখনও এ ব্যপারে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
Traditional Energy Saving Lamp (CFL)
সাধারণ বাল্বের আলোতে খুবই অল্প মাত্রায় অতি বেগুনী রশ্মি (UV Ray) উপস্থিত কিন্তু CFL বাল্বে ক্ষতিকর রশ্মির মাত্রা অনেক বেশি । তাছাড়া সি এফ এল (এনার্জি সেভিং) বাল্ব ভেঙ্গে গেলে বা ভাঙ্গা হলে (নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর) সেখান থেকে ক্ষতিকর পারদ বাষ্প নির্গত হয় যার মাত্রা 4০০ ন্যানো গ্রামের চেয়ে অনেক বেশি যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । উপরুক্ত বিষয়সমুহ বিবেচনা করে বিজ্ঞানীগন সি এফ এল বাল্ব ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন । আমেরিকা, কানাডা , অস্ট্রেলিয়া সহ উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যে এই বাল্বের ব্যবহার সম্পূর্ণ রুপে বর্জন করেছে ।
সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সি এফ লাইটের (Energy Saving Bulb) বিকল্প হিসেবে এল ই ডি (LED ) বাল্বের ব্যবহারকে উতসাহিত করেছেন যদি ও প্রাথমিকভাবে এল ই ডি বাল্বের (LED Bulb) দাম অনেক বেশি কিন্তু এর পরিচালনা (বিদ্যুৎ খরচ) ব্যয় অনেক কম এবং এটা সি এফ এল (CFL-এনার্জি সেভিং ) বাল্বের চেয়েও বেশি দীর্ঘস্থায়ী ।
LED Lamp is the Latest Development - Alternative of CFL Bulb
সবকিছুর বিবেচনায় এল ই ডি বাল্বই (LED Bulb) হচ্ছে বর্তমান সি এফ এল বাল্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিকল্প । আর এ কারনে, এল ই ডি (LED Bulb) বাল্বকে বর্তমান প্রজন্মের গ্রীন বাল্ব (Green Bulb) বলা হয় যেহেতু এটা পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা করে ।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন, এনার্জি সেভিং ল্যাম্পের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ।
তথ্যসুত্র ঃ Alternative of CFL Bulb (Traditional Energy Saving Lamp)
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস